
রবিবার ● ১৫ জুন ২০২৫
প্রচ্ছদ » উন্নয়ন-সম্ভাবনা » ঠাকুরগাঁও মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঈদের ছুটিকালীন ২৪টি ডেলিভারী সম্পন্ন
ঠাকুরগাঁও মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঈদের ছুটিকালীন ২৪টি ডেলিভারী সম্পন্ন
দেশায়ন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঈদুল আজহার ছুটিকালীন সময়েও ২৪ ঘন্টা সেবা চালু ছিল। অন্যান্য সেবার পাশাপাশি ছুটকালীন ২৪টি ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়। যা ইতিমধ্যে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের নিকট প্রশংসনীয় হয়েছে।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিকালীন সময়েও কেন্দ্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। ২৪ ঘন্টাই নিরলসভাবে সেবা চালিয়ে গেছেন সেখানকার চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন গর্ভবর্তী মা, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা ও বেশ কিছু সাধারণ রোগী সেবা নিতে এসেছেন। সেখানে দেখা যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: লাবনী বসাক ও এফডব্লিউভি-গণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন।
তাদের সাথে কিছু দাইনার্স, পিয়ন ও কিছু মিডওয়াইফ প্রশিক্ষনার্থীকেও দেখা যয় । ঈদের ছুটিকালীন সময়ে মোট ২৪টি ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তারা। এছাড়াও প্রসবকালীন সেবা ও নবজাতক শিশুদের সেবা দিয়ে চলেছেন নিরলসভাবে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন সদর উপজেলার ছিট চিলারং গ্রামের আদিত্য হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে ডেলিভারীজনিত সমস্যার কারণে এখানে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসি। তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসা পেয়ে আমার স্ত্রীর ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে।
সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রীর প্রসবকালীন সমস্যার কারণে এখানে ভর্তি হয়ে আমার স্ত্রীর ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে। একগানকার সেবায় আমরা খুবই খুশি হয়েছি।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এফডব্লিউভি মেহেবুবা শিরিন (শুভ) বলেন, সেবা নিতে আসা রোগী ও সেবা গ্রহিতাদের জন্য আমরা ২৪ ঘন্টাই প্রস্তুত রয়েছি। অসংখ্য সেবা গ্রহিতা আসছেন, আমরাও তাদের চাহিদামত সর্বোচ্চ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।
সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা: লাবনি বসাক জানান, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টাই সেবা চালু রয়েছে। এখানে প্রসবকালীন সেবা, প্রসবত্তরসেবা, নবজাতক শিশুর সেবা, গর্ভকালীন সেবা, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির সেবা, সাধারণ রোগীর সেবা ও বিভিন্ন সমস্যার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সবকিছু মিলিয়ে এমন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র চায় সাধারণ মানুষজন। ঈদের ছুটিতেও ২৪টি ডেলিভারীর বিষয়টি খুবই প্রশংসার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন সেবা পাওয়া রোগী, তাদের স্বজন ও সাধারণ মানুষজন।